সোমবার সোনার দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়, বিনিয়োগকারীরা মূল্যবান ধাতুটির প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কারণে, সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার পর এই উত্থান ঘটে, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করে। স্পট লেনদেনে, সোনার দাম প্রতি আউন্সে ২,৮৯৪ ডলারে উঠে যায়, যা বাজারের অনিশ্চয়তার প্রতিফলন।

শুল্ক এবং বাজার প্রতিক্রিয়া

🔹 রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর ২৫% শুল্ক আরোপের বিষয়ে সতর্ক করেছেন, শীঘ্রই আরও পদক্ষেপ নেওয়ার আশা করা হচ্ছে।
🔹 এই পদক্ষেপ উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সুযোগ হ্রাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
🔹 অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং বাজারের অস্থিরতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসেবে বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝুঁকেছেন।

কেন সোনা?

সোনা দীর্ঘদিন ধরেই একটি পছন্দের নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, বিশেষ করে ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়, সম্ভাব্য বাণিজ্য বিঘ্ন এবং ওঠানামাকারী আর্থিক নীতির আশঙ্কায়, ব্যবসায়ীরা তাদের পোর্টফোলিও রক্ষা করার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।

ব্যবসায়ীদের জন্য পরবর্তী কী?

বাজারের অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে, ব্যবসায়ীদের অবগত থাকা উচিত এবং সেই অনুযায়ী তাদের কৌশলগুলি সামঞ্জস্য করা উচিত। ডিবি ইনভেস্টিং বিনিয়োগকারীদের অস্থির পরিস্থিতি নেভিগেট করতে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞ অন্তর্দৃষ্টি, রিয়েল-টাইম বাজার আপডেট এবং শীর্ষ-স্তরের ট্রেডিং সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

উপসংহার

ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে সোনার দামের রেকর্ড-ব্রেকিং উত্থান বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তার প্রতিফলন। শুল্ক ঘোষণার প্রতি বিশ্ববাজারের প্রতিক্রিয়ার সাথে সাথে, সোনার মতো নিরাপদ আশ্রয়স্থল সম্পদের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ এবং সম্ভাব্য সুদের হারের পরিবর্তনের সাথে সাথে, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই অবগত থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী তাদের কৌশলগুলি গ্রহণ করতে হবে।